ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশে ফেরার অনুমতি অর্থাৎ ‘ট্রাভেল পারমিশন (টিপি)’ পেয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত এখনো মেঘালয় রাজ্য প্রশাসনে পৌঁছায়নি।
তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এ সবুজ সংকেত পেলেও শিগগিরই দেশে ফিরছেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এ নেতা।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকালে সময় সংবাদের কলকাতা অফিস থেকে শিলংয়ে অবস্থানকারী বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়। এ সময় তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থার কারণে ভারতের রাজধানী দিল্লির বেদান্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন তিনি। তাই ‘ট্রাভেল পারমিশন’ বা টিপি পেলেও এখনই বাংলাদেশে যাওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই তার।
তবে যে রাজনৈতিক কারণে তাকে বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছিল মেঘালয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার ট্রাভেল পারমিট পাওয়ার পর তিনি মনে করছেন, এটা তার নৈতিক জয়।
এর আগে, সোমবার (১২ জুন) রাতে শিলংয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলার অফিস থেকে এ বিএনপি নেতা বাংলাদেশে যাওয়ার টিপি সংগ্রহ করেন।
এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, যেহেতু বিষয়টি রাজনৈতিক এবং আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে চলছে, তাই ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সাউথ ব্লকের ক্লিয়ারেন্স না এলে তার পক্ষে বাংলাদেশে ফেরা কঠিন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে বাংলাদেশে ফেরার অনুমোদন দেবে। আর সেটা পেলে তিনি ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও পর্যটক হিসেবে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন।
এতদিন তিনি শুধুমাত্র মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১১ মে ঢাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া সালাহউদ্দিন আহমেদ উদ্ধার হন মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে। এর আগে, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন বিএনপির এ নেতা। শিলং আদালতে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলায় তিনি নির্দোষ সাব্যস্ত হন। এরপরই সামনে আসে তার বাংলাদেশে ফেরার বিষয়টি।