জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে বারবার প্রার্থিতা বাতিল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম)।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার বলেন আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যারা আছেন, তারা আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে কি না, তা জানি না। পরে তো আবার প্রার্থিতা ফিরে পাই। ফিরে পেলেও কী করবো, জয়ী হলেও তো ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আসলে আমার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে বার বার প্রার্থিতা বাতিল করা হচ্ছে।’
রোববার (১৮ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে হিরো আলমসহ ৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন নির্বাচন কর্মকর্তা। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে হিরো আলম। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। নিয়ম অনুযায়ী- স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো আসনে মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন প্রয়োজন হয়। ভোটারদের নাম, পরিচয় ও স্বাক্ষর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। হিরো আলম যেসব ভোটারের সই জমা দিয়েছেন, তা যাচাই করতে গিয়ে অমিল পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল বা হাইকোর্টে যাবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘তারা (নির্বাচন কর্মকর্তা) যে ভোটারের সংখ্যার কথা বলেছেন, তা আমি দিয়েছি। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ঋণখেলাপি, মামলাসহ কোনো কিছুতেই দোষ খুঁজে পাননি তারা। খুঁজে বের করেছে যে, ১০ জন ভোটারকে নাকি তারা পাননি। কিন্তু আমার ভোটাররা তো এখানে উপস্থিত আছেন, তারা সইও করেছেন। আপনারা চাইলে ভোটারের সঙ্গে কথা বলিয়েও দিতে পারি।’
‘নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল, তারা নাকি আমার ১০ জন ভোটার খুঁজে পান না। তখন আমি তাদের নিজেই সহযোগিতা করেছি। একমাস ধরে তিন হাজার ৩০০ ভোটারের নাম সংগ্রহ করেছি। তাদের সই নিয়েছি। অথচ তারা পেলেন না। আমার ভোটারদের তারা ভালো করে খোঁজেননি’ যোগ করেন হিরো আলম।
ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গুলশান, নিকেতন, বনানী এলাকার ভোটারের কাছে তারা যাননি। কমিশন বস্তি এলাকায় গেছে। বস্তির মানুষ পুলিশ দেখলে এমনিতেই ভয় পান। কমিশনের লোকজন কড়াই বস্তি এলাকায় গেছেন। তারা সিভিল ড্রেসে যেতে পারতো। তা না করে পুলিশ নিয়ে গেছেন