মোবাইলে ১০০ টাকা ভরলে ৩০ টাকা যায় আ‘লীগের পকেটে: বগুড়ায় ফখরুল

Mirza Fakhrul Islam Alamgir
print news

বর্তমান সরকার বাংলাদেশের মানুষকে শুধু একটা জিনিস এনে দিতে পেড়েছে সেটি ঋণ। আর এই ঋনের টাকা পরিষধের নামে জনগনের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভড়েছে আওয়ামী লীগ। যেমন মোবাইলে যদি আপনার ১০০ টাকা ভরেন তার ৩০ টাকা দেখবেন নাই হয়ে গেছে। এই টাকা কোথায় যায় জানেন? এই টাকা যায় আওয়ামী লীগের পকেটে। বগুড়ায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় তারুন্য সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন এই সরকারের অধীনে কোন ধরনের নির্বাচন মেনে নেবেনা জনগন। অর্থাৎ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হবে এই ভোট চোর সরকারকে।

এই সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দুটি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। চেয়ার দুটিতে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি। এর পাশেই বসেছেন প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য অতিথিরা।

সোমবার (১৯ জুন) বিকাল চারটায় বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের লক্ষাধীক নেতাকর্মী যোগ দিয়েছিলেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বগুড়া জেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর হেনাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।

সমাবেশে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।

এই সমাবেশকে ঘিরে দুপুর থেকেই দুই বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে সড়ক পথে বাস, মাইক্রো, মোটরসাইকেলসহ নানা ধরনের যানবান ও ট্রেনযোগে নেতা কর্মীরা বগুড়া শহরের আসতে শুরু করে। বিকেল সারে ৩টা থেকে নেতা কর্মীরা লাল-সবুজ-হলুদ ক্যাপ পরে বিশাল বিশাল মিছিল নানা ধরনের ¯স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশে যোগ দিতে থাকে।

এসময় শহরের বিভিন্ন জায়গুলো যানযটে চরম ভোগান্তিতে পরে সাধারণ মানুষগুলো। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরের আনাচে কানাচে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ও মুজিব চত্বরে ছাত্রলীগ ও ছাত্র দলের কিছু কর্মীদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘরে। এর পরেই এলাকাটিতে পর্যাপত্ত পুলিশ ও ডিবি অবস্থান নিয়ে ঘিরে রাখে।

সমাবেশকে ঘিরে অভিযোগ রয়েছে বিএনপির নেতা কর্মীদের, তারা বলছেন বগুড়ায় বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীদের পুলিশ তল্লাশি করেছে ও বাধা দিয়েছে। আজ সোমবার জেলার বিভিন্ন স্থানে এই বাধা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে গাড়ি ভাড়া দিতে গাড়ির মালিকেরা অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন নেতা-কর্মীরা।

বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে সোনাতলা ও শেরপুর উপজেলার নেতা-কর্মীরা গাড়ি ভাড়া করতে গেলে বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির নেতা আমিনুল ইসলামের চাপে সাধারণ মালিকেরা বাস ভাড়া দিতে অপারগতার কথা জানান। সেই সঙ্গে কয়েকজন মালিক আগাম নেওয়া ভাড়ার টাকা ফেরত দিয়েছেন। এতে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা চরম বিপাকে পড়েন।

উল্লেখ্য, স্কুলের শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা থাকায় সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা দুপুর আড়াইটা থেকে মাঠে প্রবেশ করেন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার প্রায় সব জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে অংশ নিতে সভাস্থলের আশেপাশে সমবেত হয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *