রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) ও সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে। যে কারণে অনেকটাই নিরুত্তাপ এবারের ভোট।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৫টি। এর মধ্যে ১৪৮ কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার ৩০টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ১৫৩টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
রাসিক নির্বাচনে এবার মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী ছাড়াও ১১২ জন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ৪৬ জন সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। পদ্মাপাড়ের ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই সিটিতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন, আর নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই তালিকা অনুযায়ী ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। নগরের ১৮টি ওয়ার্ডের সব কটি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ৫৮টি কেন্দ্র সাধারণ (ঝুঁকিমুক্ত) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, নগরে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি।
সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), স্বতন্ত্র মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), স্বতন্ত্র মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস)।, স্বতন্ত্র মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।