ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় পুকুরে ডুবিয়ে জান্নাতুল আরিফা আক্তার (৯) নামের এক শিশুকে নিজ হাতে হত্যা করেছেন পাষণ্ড পিতা। শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা টিপু মিয়াকে (৩৭) আটক করেছে।
গ্রেফতারকৃত টিপু মিয়া দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জয় নারায়ণপুর গ্রামের কবির আহমেদের ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে টিপু মিয়ার সাথে তার স্ত্রী রোমানা আক্তারের বিচ্ছেদ ঘটে। ওই সময়ে জান্নাতুল আরিফা আক্তারের বয়স ছিল ৯ মাস। পরে টিপু মিয়া পুনরায় বিয়ে করলে সেখানে আরও ২ মেয়ের জন্ম হয়। প্রথম সংসারের মেয়ের ভরণপোষণ ও দ্বিতীয় সংসারের পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন স্বল্প আয়ের টিপু মিয়া। ১৮ জুন টিপু তার মেয়ে আরিফাকে নিজের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। ২১ জুন বিকালে বাড়ির পাশে পদুয়া পুকুরে গোসল করানোর কথা বলে মেয়ে আরিফাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। পরে আরিফাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে এলাকায় মাইকিং ও নানা প্রচারণা চালায় স্বজনরা। এক পর্যায়ে পুকুরে আরিফার লাশ ভেসে ওঠার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যে সন্দেহ হলে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে ঘটনা তদন্ত শুরু করে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, ঘটনার পর থেকে আরিফার পিতা আত্মগোপনে চলে যায়। শনিবার দিবাগত রাতে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে মেয়ের ভরণপোষণ দেয়া থেকে বাঁচতে নিজ হাতে পানিতে ডুবিয়ে আরিফাকে হত্যা করেছে বলে লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। এ ঘটনায় নিহত আরিফার মা রোমানা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। রোববার বিকালে ঘাতক পিতা টিপু মিয়াকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।