আগামীকাল (৫ জুলাই) বুধবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে দুপুর ২ টায় শুরু হবে তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজ।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী আফগানিস্তানকে হালকাভাবে না নেয়ার জন্য দলকে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তার মতে ,ওয়ানডে সিরিজ সফরকারীরা ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিবে। তামিমের মতে, আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে রেকর্ড ৫৪৬ রানে জয়ের মতো সহজ হবে না ওয়ানডে সিরিজ।
তিনি আরো জানান, ‘ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তান কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে ধারনা করছি। টেস্ট ম্যাচের মতো সহজ হবে না। সাদা বলের ফরম্যাটে সেরা বোলিং ইউনিটগুলোর মধ্যে একটি তারা। জিততে হলে আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দলে রশিদ খান এবং আরো ক্রিকেটাররা ফিরেছেন যারা একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। আমাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’
আগামীকাল শুরু হওয়া সিরিজের তিনটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
গত দুই বছর ধরে দারুন ছন্দে থাকা পেসারদের সহায়ক উইকেট থাকবে বলে ইঙ্গিত দেন তামিম। বিষয়টি স্পষ্ট করে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, তিনটি ম্যাচেই ভিন্ন ধরণের পেস বোলিং কম্বিনেশন দেখা যাবে। কারণ খেলোয়াড়দের ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
তামিম বলেন, ‘তিন ম্যাচে আমরা ভিন্ন পেস বোলিং কম্বিনেশনে খেলাতে পারি। এটা ঠিক, একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার থাকলে ভালো হতো। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম কেউ করেনি। সাইফুদ্দিন থাকলেও এই মুহূর্তে ফিট নন তিনি।’
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের খেলার তিন সংস্করণ তিনটি ভেন্যুতে হচ্ছে। ওয়ানডের জন্য চট্টগ্রামকে বেছে নেয়া হয়েছে। ভেন্যুর নাম বাড়তি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে আফগান অধিনায়ককে। ২০১৯ সালে এই মাঠেই বাংলাদেশকে টেস্টে হারিয়েছিল তারা।
একমাত্র টেস্টে দলের সেরা খেলোয়াড়কে পায়নি আফগানিস্তান। সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ আছে বলে, চোটের সঙ্গে লড়া লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রশিদ খানকে বিশ্রাম দিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে ওয়ানডেতেই ফিরছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তাকে পেয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে শহীদির।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে এখন সব দল সমীহ করে। বিশেষ করে স্বাগতিক বাংলাদেশকে গত ৮ বছরে শুধু ইংল্যান্ডই এই ফরম্যাটে সিরিজ হারের স্বাদ দিতে পেরেছে। তবে শহীদিও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ওয়ানডেতে তারাও কম যায় না।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজ আফগানিস্তানের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে আরেকটি কারণে। টানা দুটি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ আছে আফগানিস্তানের। বাংলাদেশের শক্তি-দুর্বলতার খবর এই সিরিজ দিয়ে নিতে চায় আফগানিস্তান।