কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প দুই দিনে ৭ খুনের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে শুক্রবার ভোরে বালুখালী ৮-নম্বর (পূর্ব) ক্যাম্পে গোলাগুলিতে ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এপিবিএন। এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অজ্ঞাত একজনের পরিচয়ও নিশ্চিত হয়েছে।
শুক্রবার (০৭ জুলাই) ভোরে বালুখালী ৮ নম্বর (পূর্ব) ক্যাম্পে আরসা ও আরএসও গোলাগুলিতে ৫ জন নিহত হন। বিকালে একই ক্যাম্প থেকে গলাকাটা একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। আগের দিন বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) কুতুপালং ১ নম্বর (পশ্চিম) ক্যাম্পের এ/৯ ব্লকে এবাদুল্লাহ নামের ওই ব্লকের উপপ্রধান বা সাব মাঝিকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। ওই সময় কুতুপালং ১ নম্বর (পশ্চিম) ক্যাম্পের এ/১ ব্লকে ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিরা।
শনিবার (০৮ জুলাই) দুপুরে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, দুইদিনে ৭ খুনের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। আইন মতে সংঘটিত পৃথক ৩টি ঘটনার জন্য ৩টি মামলা হবে। এপিবিএন স্বজনদের সঙ্গে আলাপ করে মামলার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
একই সময় ৮ এপিবিএন এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, বালুখালীর ৮ নম্বর (পূর্ব) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের ধরতে এপিবিএন বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত যৌথ অভিযানে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এছাড়া ভোরে গোলাগুলিতে নিহতদের মধ্যে অজ্ঞাত থাকা একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানান তিনি। শনাক্ত হওয়া নিহত ব্যক্তি আবদুর শুক্কুর। তিনি বালুখালীর ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আলী হোসেনের ছেলে।
এর আগে পরিচয় শনাক্ত হওয়া নিহত ৪ জন হলেন, ৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ-৪৯ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৪), এ-২১ ব্লকের জাকারিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হামীম (১৬), ১০ নম্বর ক্যাম্পের এইচ-৪২ ব্লকের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নজিমুল্লাহ (২৬) ও ১৩ নম্বর ক্যাম্পের বি-১৭ ব্লকের আবুল বাশারের ছেলে নুরুল আমিন (২৪)।
এছাড়া শুক্রবার বিকাল ৫ টায় বালুখালীর ৮ নম্বর (পূর্ব) ক্যাম্পে থেকে সানাউল্লাহ (৪৫) নামের এক রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি ১১ নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা।
সূত্র-সময় টিভি।