সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে নিখোঁজের তিনদিন পর পাঁচ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশের একই পরিবারের চার সদস্য ও মিয়ানমারের এক নাগরিক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাত ১১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। শামলাপুর নৌ-ঘাটের জেলে কমিটির সভাপতি মাঝি সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
উদ্ধার জেলেরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবী মিয়ার ছেলে ফজল আহমদ (৫০), তার দুই ছেলে আব্দুর রহমান (২৭), নুরুল আমিন (২৫) ও ফজল আহমদের মেয়ের জামাই গুরা পুতিয়া (২৬) এবং মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) রহমত উল্লাহ (২২)।
শামলাপুর নৌ-ঘাটের জেলে কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১১ জুলাই সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে কৌশলে এক রোহিঙ্গাসহ শামলাপুর এলাকার পাঁচ জেলে ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা নিয়ে সাগরের মাছ ধরতে যান। পরে ওই নৌকার ইঞ্জিন বিকল হলে তারা গভীর সমুদ্রের দিকে ভেসে যেতে থাকেন। আর বৃষ্টির কারণে ওই জেলেরা কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তারা তিনদিন সাগরে ভাসার পর বৃহস্পতিবার রাতে কুতুবদিয়া চ্যানেলে চলে গেলে, সাগরে তাদের মতো চুরি করে মাছ ধরতে নামা অন্য জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার হয়।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারের পর ভিকটিমরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে, তারা এখনো বাড়ি ফেরত যাননি। তাদের সঙ্গে থাকা ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাটি সাগরে ভেসে যায় বলে জানিয়েছেন ওই জেলেরা।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলেরা জীবিত উদ্ধার হয়েছ বলে ভিকটিমের পরিবার থেকে জেনেছি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এভাবে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ওই জেলেদের উচিত হয়নি। ইঞ্জিন বিকল হয়ে গভীর সমুদ্রে তারা ডুবে গেলে অঘটনও ঘটতে পারতো।