জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা দুটি মামলায় স্থানীয় চারজন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।
বুধবার ১৬ আগস্ট চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আল ফোরকান বাদি ১৫১ জনের নাম উল্লেখ এবং দুই থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দুটি করেন।
একটি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং অপরটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে।
দুইটি মামলায় দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি আবদুল মজিদ, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ও পূর্বদেশ পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি এ কে এম ইকবাল ফারুক, দৈনিক ভোরের আকাশ, কক্সবাজার সংবাদ পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি এ, কে, এম বেলাল উদ্দিন এবং দৈনিক বাকখালী পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি এ এম ওমর আলীকে আসামি করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে সাংবাদিক ওমর আলী চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে গায়েবানা জানাযা ঘিরে সংর্ঘষের ঘটনায় পুলিশের দুইটি মামলায় চকরিয়া উপজেলার কর্মরত চারজন সাংবাদিককে আসামি করার ঘটনায় চরম ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলার কর্মরত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এঘটনায় একসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন চকরিয়া প্রেস ক্লাব, চকরিয়া সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি, রিপোটাস ইউনিটি, চকরিয়া রিপোর্টাস ক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চকরিয়া উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, চকরিয়া থানা প্রশাসনের সঙ্গে সাংবাদিকদের কোনধরনের বৈরিতা নেই। সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত পেশাগত দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে থানা পুলিশের অভিযানের সংবাদ যার যার গণমাধ্যমে তুলে ধরে পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন।
সেইক্ষেত্রে কেন পুলিশের মামলায় সাংবাদিকেরা আসামি হলো তা নিয়ে সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়ে কতিপয় মহল নিশ্চয় সুযোগ নিতে তৎপর রয়েছে।
এই অবস্থায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে মামলা থেকে চকরিয়া উপজেলার চারজন সাংবাদিককে অব্যাহতি দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে সাংবাদিকেরা কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) ও চকরিয়া থানার ওসির ইতিবাচক ভুমিকা প্রত্যাশা করেছেন।