কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ৫০০ ও ২ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের ২টি ইলিশ মাছ। এই মাছ দুটি এক ব্যবসায়ী আট হাজার টাকায় কিনে নিয়ে দাম হাঁকাচ্ছেন ১১ হাজার টাকা।
রোববার দুপুরে নাফ নদীতে জাল ফেলার পর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মাছ দুটি ধরা পড়ে। জেলের কাছ থেকে আট হাজার টাকায় মাছ দুটি কিনে নেন টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকার মাছ ব্যবসায়ী আমির সাহেব ওরফে ইমান হোসেন।
স্থানীয় কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার দুপুরে ছোট একটি নৌকা নিয়ে হামিদ হোসেন নামের এক জেলে প্যারাবন সংলগ্ন নাফ নদীতে জাল ফেলেন। বেলা তিনটার পর জাল তুলে দেখেন দুটি ইলিশ ধরা পড়েছে। দেরি না করে মাছ দুটি নিয়ে ওই জেলে চলে আসেন টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন মাছবাজারে। সেখানে ব্যবসায়ী আমির মাছ দুটি আট হাজার টাকায় কিনে নেন।
আমির সাহেব বলেন, প্রতি কেজি ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে তিনি দুটি মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন ১১ হাজার টাকা। অনেকে প্রতি কেজি দুই হাজার টাকা করে দাম করছেন। কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পেলে মাছ দুটি বিক্রি না করে বাসস্টেশন বাজারে নেওয়া হবে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বাজারে কয়েক দিন ধরে বড় আকৃতির ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। বড় ইলিশ দেখলে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকে মুঠোফোনে ছবি ও ভিডিও করে নিচ্ছেন। তবে বিক্রেতা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে নাফ নদী থেকে দুই ও আড়াই কেজি ওজনের পাঁচটি ইলিশ ধরা পড়েছে। নাফ নদীতে ছয় বছর মাছ ধরা বন্ধ ছিল। বর্তমানে নাফ নদী ইলিশ ও কোরাল মাছের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও ইয়াবা পাচার ঠেকাতে ২০১৭ সালের এপ্রিলের শুরু থেকে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় বিজিবি। সেই থেকে প্রায় ছয় বছর মাছ ধরা বন্ধ নাফ নদীতে। তবে এলাকার কিছু জেলে জীবিকার তাগিদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাছ শিকার করেন। কিন্তু বাংলাদেশি জেলেরা অবাধে নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে না পারলেও মিয়ানমারের জেলেরা জাল ফেলে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র: প্রথম আলো