কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে জাফর আলম (২২) নামের এক রাখাল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার মুচনী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পশ্চিমের পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আহত কৃষকের পরিবারের সদস্যরা বলেন, পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাতদের আস্তানা দেখে ফেলায় রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত কামালের দলের সদস্যরা জাফর আলমকে গুলি করেছে।
গুলিবিদ্ধ জাফর আলম (২২) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ লেদার আলীখালী এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে। তিনি এখন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জাফর আলমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে গরু নিয়ে জাফর পাহাড়ে যান। যেতে যেতে তিনি রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত কামালের দলের আস্তানার কাছাকাছি পৌঁছান। এ সময় তাঁর গরু ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য মোহাম্মদ রফিকসহ আরও ছয়-সাতজন চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে জাফর আলমকে লক্ষ্য করে তাঁরা গুলি চালান। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে কোনো রকম সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসংলগ্ন একটি এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক আশেকুর রহমান জানান, জাফরের পেটে গুলি লেগেছে। একাংশে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, ঘটনাটি তাঁরা শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো ধরনের অভিযোগ দেননি। তারপরও ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। সুত্র: প্রথম আলো