চলতি বছরের ১৯ জুন নিষেধ না মেনে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন চালক শরিফুল। কয়েকদিন অনেক খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন মাস পর সেই শরিফুলের খোঁজ মিলেছে। তিনি স্বয়ং হাজির হয়েছেন থানায়।
রোববার দুপুরে পদ্মা সেতু উত্তর থানায় উপস্থিত হয়েছেন তিনি।
শরিফুল জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ঢাকার হাজারীবাগের বাসা থেকে রিকশা নিয়ে বের হন। উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা থেকে বাগেরহাটে গ্রামের বাড়ি চলে যাবেন। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত হয়ে রিকশা চালিয়ে পদ্মা সেতুর ওপরে ওঠেন।,এক পর্যায়ে একটি গাড়ির সঙ্গে হালকা ধাক্কা লাগে। এসময় নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে ধাওয়া করে। তারা গুলি করে দেবে ভয়ে রিকশা রেখেই সেতু থেকে ঝাঁপিয়ে নদীতে পড়েন।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জারান, শরিফুল বাগেরহাটের মোল্লাহাট গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে। তিনি খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। ১৯ জুন রিকশা নিয়ে সেতুর ২১ নম্বার পিলার পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন। রিকশাটি তাদের থানা হেফাজতে রাখা হলেও ঘটনাটি মাদারীপুর সীমানায় হওয়ায় শিবচর থানায় অভিযোগ করা হয়েছিলো।
শরিফুলকে শিবচর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।