বিএনপির রোডমার্চে অংশ নেয়া বাবার ছবি দেখে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন রাঙ্গুনিয়ার এক ছাত্রলীগ নেতা। ওই ছাত্রলীগ নেতা হলেন নিরব ইমন। তিনি উপজেলা পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট আলকাজ পণ্ডিত নিজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ইমনের বাবা মোহাম্মদ জহির (৪৫) পোমরা ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন। ইমন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে জিয়াউর রহমানের প্রথম কবরস্থানে রোডমার্চ উপলক্ষে বিএনপি নেতারা জড়ো হচ্ছেন, এমন খবরে তাৎক্ষণিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমনও ছিলেন। এ সময় চট্টগ্রাম নগরের অনুষ্ঠিত বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে তার বাবার অংশ নেওয়ার একটি ছবি দেখতে পেয়ে তাকে ফেসবুক ম্যাসাঞ্জারে লাল চিহ্ন দিয়ে পাঠান অন্য এক ছাত্রলীগ নেতা। যেটি তাদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপেও শেয়ার করা হয়েছিল। ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমন বাবার ছবিটি দেখে ছুঁটে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বিষপান করে বসেন ইমন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে তাকে ভর্তি করানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক জয় দিপ নন্দী
বলেন, নীরব ইমন নামে একজনকে বিষপান করা অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ঘটনার বিষয়ে তার বাবা মোহাম্মদ জহির গণমাধ্যমে বলেন, আমি ছিলাম শহরে। ঘরে কী হয়েছে জানি না। তবে আমি বিএনপির প্রোগ্রামে এসেছি শুনে ইমন বিষপান করেছে বলে জেনেছি।
তার স্বজন পোমরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ইমনের বাবা সম্পর্কে আমার ফুফাতো ভাই। সে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকায় আমার সাথে তার কথাবার্তা হতো না। তবে ইমন তার বাবাকে প্রায় সময় বিএনপির রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে বলতেন। এরপরও তার বাবা বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে যাওয়ায় ক্ষোভে ইমন এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জেনেছি।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে ইমনকে নিয়ে যাওয়া তার চাচা মো. পারভেজ বলেন, মেডিকেলে আনার পর তাকে ওয়াশ করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তিন ঘণ্টা পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।