ব্রিজ মেরামত কাজ পরিদর্শন করতে এসে ‘নতুন একটি ব্রিজও কালুরঘাটে হবে’ এমন আশ্বাস দিয়ে গেলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় তিনি চলতি মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে চট্টগ্রাম কালুরঘাট সেতু মেরামতের কাজ শেষ করার নির্দেশনাও দিয়েছেন। মেরামতের পর আগামী ২ নভেম্বর রেলমন্ত্রীর উপস্থিতে হবে ট্রায়াল রান। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টাই কালুরঘাট সেতু মেরামতের কাজ পরিদর্শন করলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। পরিদর্শনের পর গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সেতুটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। মেরামতের পর ভারি ইঞ্জিনের যান চলার মতো সক্ষম হবে সেতুটি। এছাড়াও এই ব্রিজটি বাদ দিয়ে নতুন একটি ব্রিজও কালুরঘাটে হবে। যেটি এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। এছাড়াও আগামী বছর নতুন সেতুর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কাজেই নতুন ব্রিজের কাজ না হওয়া পর্যন্ত এই ব্রিজটি ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২ নভেম্বর আমরা এখানে আসব এবং ট্রায়াল রান করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১২ নভেম্বর উদ্বোধনের পূর্বেই এই রেললাইনটি ভালোভাবে তৈরি হয়েছে কিনা সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হতে চাই’।
এদিকে, চলতি মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে কালুরঘাট সেতু মেরামতের কাজ শেষ করার নির্দেশনা নিয়ে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রীমহদের নিদেশনা মোতাবেক ২৯ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তবে রেল লাইনের কাজ শেষ হলেও আমরা আশা করছি, আগামী বছর এ নতুন সেতুর ডাবল লেইন মিটারগেজ এবং ফোর লেইনের সড়ক থাকবে একই ব্রিজের ওপর। ছোটখাট কিছু কাজ থাকতে পারে। একই ব্রিজ দিয়ে ট্রেন যায়, যানবাহন চলাচল করে, মানুষও চলাচল করে। সেই পথচারীদের জন্য আমরা আলাদা করে একটা লেইন করে দিয়েছি। মূল ব্রিজের ভিতরে আসতে হবে না। এটি এর আগে ছিল না। আমরা আরও ৬ ফিট ওয়াকওয়ে করে দিয়েছি, সেটার কাজ শেষ হতে আরও এক-দুই মাস সময় লাগতে পারে। কালুরঘাট সেতু পরিদর্শনের পর দোহাজারী স্টেশন থেকে মোটর ট্রলিতে করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন রেলমন্ত্রী।