ঘূর্ণিঝড় হামুন বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী আজ মঙ্গলবার লেন, 'ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।' তিনি বলেন, 'সেন্টমার্টিন ও শাহপরী দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিনে মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।'
'পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে,' বলেন তিনি।
জানতে চাইলে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, 'দ্বীপে অবস্থানরত পর্যটকসহ স্থানীয়রা যেন নিরাপদ স্থানে যায় সেজন্য সকাল থেকেই দ্বীপে মাইকিং করা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।'
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল ভোর থেকে কক্সবাজার জেলায় হালকা বাতাসসহ বৃষ্টি হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সোমবার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে বেশিরভাগ পর্যটককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইউএনও আদনান বলেন, 'তিনটি জাহাজে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে প্রায় ১৪০০ পর্যটককে টেকনাফে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে প্রায় ১০০-১৫০ পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।