কক্সবাজার পৌরসভার আওতাধীন ৬নং ওয়ার্ডের হাশেমিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগ সভাপতি জামাল বিন তাহেরের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ও শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিয়ে সিবিটুয়েন্টিফোরে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা জুড়ে আলোচনায় আসে রোহিঙ্গা জামাল। এরপ্রেক্ষিতে জামালকে নিয়ে চলে আলোচনা ও সমালোচনা।
জামাল একজন রোহিঙ্গা ও শিবিরের রাজনীতির সাথে থাকার সম্পৃক্ত, এমন অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর হাশেমিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগ নেতা ও উক্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহেদ বিন জালাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ১ নভেম্বর রাতে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে হঠাৎ করে পদত্যাগ করেন। ছাত্রলীগ নেতা শাহেদ বিন জালালের এই পদত্যাগ মেনে নিতে নারাজ নেতাকর্মীরা। তবে সমস্ত বিতর্কের উর্দ্ধে গিয়ে সসম্মানে পদত্যাগ করেছেন শাহেদ বিন জালাল, এমন দাবি নেতাকর্মীদের। তার পদত্যাগ ছাত্রলীগের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তার ফেসবুক স্ট্যাটাস পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
"আমার সপ্নগুলো হয় তো পূরণ হলো না,
ছাত্রলীগের দীর্ঘ ৮ বছর চলার পথে সারথি হয়ে যারা পাশে ছিলেন সবার নিকট কৃতজ্ঞ। আমি ৩১/০৭/১৭ নির্বাচিত হয়েছিলাম ,হাশেমিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। আবার নতুন করে দ্বিতীয় মেয়াদে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় ১৯ সালে, এখনো আমি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমি একটি পদ নিয়ে নবীনদের রাস্তা অবরুদ্ধ করতে চাই না। নতুনদের জন্য জায়গা করে দিতে হবে। তাই এই অবস্থা থেকে প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাবেক হচ্ছি। চলার পথে কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন! আওয়ামী পরিবার আমার অস্তিত্বের নাম, শেকড়ের নাম। আমাদের যত বিন্দুতে ভাগ করা হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না। চলার পথে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে কখনো লুকোচুরি করিনি৷ সংগঠন আমাদের মত কর্মীদের কাছে মায়ের মত পবিত্র আমানত। জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত আদর্শের প্রশ্নে আপোষহীন থাকব! সৃষ্টিকর্তা যা করেন ভাল এবং মঙ্গলের জন্য করেন। প্রকৃতির নিয়মকে মেনে নিতে হবে। জীবনে চলার পথে মানুষের যে ভালবাসা পেয়েছি তা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এক জীবনে এর বেশি ভালবাসা খুব কম মানুষের ভাগ্যেই জুটে। সে অর্থে আমি সৌভাগ্যবানও বটে! আমার জন্য এমন পরিস্থিতি নতুন না। দীর্ঘ এই চলার পথে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের সাথে লড়াই করতে হয়েছে বারবার। কখনো জিতেছি, কখনো শিখেছি। তবে হারিনি! ভাল থাকুক আবেগ, ভালবাসার প্রিয় ছাত্র সংগঠন , বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে মিশে থাকা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ! আগামীর মিছিলে আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে! ইনশাআল্লাহ।"