অনেকবার মোবাইল ফোনে কল করছিলেন স্ত্রীকে। এক এক করে সেটা হয়ে যায় দেড়শ’বার। এরপরও স্ত্রী ফোন না ধরায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে খুনই করে ফেলেন স্বামী। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (৮ নভেম্বর) টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানায়।
অভিযুক্ত ৩২ বছর বয়সী কিশোর দে কর্ণাটক রাজ্যের চামরাজানগরের একজন পুলিশ কনস্টেবল। ঘটনার দিন, দম্পতির মধ্যে ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে, কিশোরের স্ত্রী প্রথিবা ফোনের কল কেটে দেন। এরপর কিশোর টানা ১৫০ বার প্রথিবাকে ফোন করেন।
এক মাস আগে, কিশোরের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তার বাবার বাড়ি যান। সম্প্রতি ছেলে সন্তানের জন্মও দিয়েছেন তিনি।
প্রথিবার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর কর্মস্থলের দূরত্ব ২৩০ কিলোমিটার। ঘটনার দিন ফোন কলে সাড়া না দেয়ায় দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দিয়েই শ্বশুর বাড়ি যান। এরপর কিশোর নিজে কীটনাশক পান করেন। তারপর শ্বাসরোধে হত্যা করেন প্রথিবাকে।
স্ত্রীকে হত্যার পর, স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিজে গিয়ে ভর্তি হন কিশোর। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ কিশোরকে হাসপাতালেই নিজেদের হেফাজতে নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসা শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।