
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো ইসরায়েলের বর্বর হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। সেখানে খাদ্য, চিকিৎসা, জ্বালানিসহ সবকিছুর চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সঙ্গে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত মানুষ।
ইসরায়েলের এই বর্বর হামলা থামানোর লক্ষ্যে শনিবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জড়ো হন মুসলিম দেশগুলোর নেতারা। যদিও এ সম্মেলনে ইসরায়েলের নিন্দা জানানো ছাড়া তেমন বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
তবে সম্মেলনে অংশ নেওয়া মুসলিম নেতাদের একে-অপরের সঙ্গে হাসাহাসি করতে দেখা গেছে। গাজায় মানবিক বিপর্যয় নিয়ে কথা বলতে জড়ো হলেও; তাদের মুখে লেগেছিল হাসি!
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও এএফপির প্রকাশিত দুটি ছবির মধ্যে একটিতে দেখা গেছে, কাতারের আমির ও ইরানের প্রেসিডেন্ট কিছু একটা বলে হাসছেন। ওই সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মুখেও মুচকি হাসি দেখা যায়।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাদের হাসাহাসি করতে দেখা যায়।
অপর ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি হাসছেন। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সৌদির ক্রাউন প্রিন্স কোনো এক নেতাকে হাত বাড়িয়ে সম্মেলন মঞ্চে গ্রহণ করে নিচ্ছেন।
মুসলিম নেতারা সম্মেলনে হাসাহাসি করলেও ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের কথা বলতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে কেঁদেছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস হামলা চালানোর পর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে। এই সময়ের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজার ফিলিস্তিনি। ঘর-বাড়ি ছাড়া হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে ইসলামিক দেশগুলোর নেতাদের এই সম্মেলন খুব বেশি প্রভাব রাখতে পারবে না। কারণ আরব নেতাদের মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে চরম বিরোধ রয়েছে।