Mohammad Hasan
১২ জানুয়ারী ২০২৪, ৭:৩৫ অপরাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহবান ৬ সংগঠনের

ডেস্ক রিপোর্ট:

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন যথাযথ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি দাবি করে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহবান জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক সংগঠন। বিবৃতিতে রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহবানও জানানো হয়েছে।

বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলো হলো এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল), ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন (সিআইভিআইসিইউএস), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), এশিয়ান ডেমোক্রেসি নেটওয়ার্ক (এডিএন), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রোজেক্ট (অস্ট্রেলিয়া) ও অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন)।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেক তথ্য-প্রমাণ আছে, যা নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের চিত্র দেয়। ভোটারদের চাপ প্রয়োগ এবং ভোটের ফলাফলে কারচুপির মতো বিষয়ও রয়েছে। এগুলো গুরুতরভাবে গণতন্ত্রের মূল নীতিসমূহ ক্ষুণ্ণ করে। নির্বাচন সামনে রেখে বেপরোয়াভাবে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ এবং রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের ঘটনা ছিল উদ্বেগজনক। সভা-সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু সরকারপন্থি দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রক্ষিত হয়েছে। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো দেশজুড়ে বিরোধী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধরপাকড় করে। একই ধরনের উদ্বেগ ও বিষয়াবলীর কারণে প্রার্থী একটি বড় অংশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।

পক্ষান্তরে বিরোধী নেতাকর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ক্ষেত্রে এসব মৌলিক অধিকার প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে সীমিত রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, গণতন্ত্র মঞ্চসহ প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পক্ষপাতমূলক অবস্থান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সুস্পষ্ট পক্ষপাত এবং বিরোধী নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নের কারণে তারা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচন কমিশন ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে যে তথ্য দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিতে জোরালো আহবান জানাচ্ছি। আর এই নির্বাচন হতে হবে সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্থা ও একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে। সূত্র: যুগান্তর।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু! শনাক্ত ৩৬

ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইরান

মধ্যপ্রাচ্যে ৪০ হাজার মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে ইরান?

মার্কিন হামলায় ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ সৌদি আরবের

শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন সিইসিসহ ১৯ জনের নামে বিএনপির মামলা

কক্সবাজারে সাগর উত্তাল, ইলিশ শিকারে যেতে পারছেন না জেলেরা

ইসরাইলি আগ্রাসনে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন পাকিস্তানের

এনটিআরসিএর ফল প্রত্যাশীদের ওপর পুলিশের জল কামান, মৃদু লাঠিচার্জ

ফেসবুকে শাহজালাল বাবলুর মিথ্যাচার, ডা. রুমির বক্তব্য ও তীব্র প্রতিবাদ

জিয়া নন, ‘বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক’ বলে বিতর্কিত রায়ের নেপথ্যে কে?

১০

রোহিঙ্গাদের জন্য ২৫ কোটি টাকা দেবে সুইডেন

১১

মহেশখালী উপজেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত

১২

৫৮ বছরের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ‘কলঙ্ক’ ঘোচালো ইরান

১৩

চকরিয়ায় সাবেক এমপির মুক্তির দাবিতে ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ৫৫

১৪

সৈকত ব্যবসায় আওয়ামী সিন্ডিকেটের পতন

১৫

মহেশখালীতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১

১৬

রোহিঙ্গাদের লড়াইয়ে ম্লান হচ্ছে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা

১৭

১৮টি উৎসবহীন বছর-নির্বাসনে ঈদ ছিল শুধু অপেক্ষা আর না বলা বেদনার গল্প: সালাহউদ্দিন আহমেদ

১৮

মবের নামে নাশকতার সুযোগ নেই, সারজিস আলমকে সেনা কর্মকর্তা

১৯

ইসরায়েলের আপত্তিতে বাতিল হলো ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরব মন্ত্রীদের বৈঠক

২০