সুগন্ধা পয়েন্টে চাঁদাবাজি, অভিযুক্ত সেই লাল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

lal miya
print news

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের আলোচিত-সমালোচিত লাল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে সুগন্ধা পয়েন্টের ঝিনুক ব্যবসায়ী নুরুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আসামীরা হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে লাল মিয়া, লাল মিয়ার ছেলে রাসেল ওরফে ফরহাদ, হাসান মো. বকুল, আজাদ হোসেন ও দক্ষিণ কলাতলী এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. বেলাল।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাইছার হামিদ বলেন- লাল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ধারায় মামলা হয়েছে। এর আগে ভুক্তভোগীরা সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের পর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- তারা সুগন্ধা বীচ পয়েন্টের জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত ঝিনুক হকার ব্যবসায়ী। তার অনুমোদনের কার্ড নিয়ে ঝিনুক হকারের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু লাল মিয়া সৈকতের বালিয়াড়ির জায়গাটি নিজ নামে বন্দোবস্তকৃত ও হাইকোর্টের ডিগ্রিপ্রাপ্ত জায়গা দাবি করে বিভিন্ন সময় উচ্ছেদের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অবৈধভাবে চাঁদা দাবি করে আসছে।

এক পর্যায়ে তারা কয়েক দফা করে চাঁদাও দেন লাল মিয়াকে। চাঁদা দেওয়ার পর কিছুদিন চুপ থাকে লাল মিয়া। কিছুদিন চুপ থাকার পর ফের চাঁদা দাবি করে। গত কয়েক মাসে তাদের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা চাঁদাও নেন লাল মিয়া। এরপর পুনরায় জনপ্রতি ২ লাখ করে আট লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে। চাঁদা না দিলে দোকানপাট ভাঙচুরসহ মারধর করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে লাল মিয়া ও তার বাহিনীর লোকজন।

জানা গেছে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ঝিনুক ব্যবসায়ীদের জিম্মি করেই নিয়মিত চাঁদা আদায় লাল মিয়া ওরফে লালু। অভিযোগ রয়েছে, তাকে নিয়মিত চাঁদা না দিলেই সুগন্ধা পয়েন্টে ব্যবসা করতে না দেওয়ার হুমকি দেন তার লোকজন। শত শত দোকানের মধ্যে একসময় লাল মিয়া নামে-বেনামে আত্মীয় স্বজনদের নাম ব্যবহার করে অর্ধশত দোকান ভাগিয়ে নেন।

এরপর সৈকতের বালিয়াড়ি তার নামে লিজ নিয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের প্রচার করে। লিজ নেওয়ার ইস্যু দেখিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। টাকা না দিলে তার জায়গা থেকে দোকান উচ্ছেদ করার হুমকিও দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *