রাশিয়া বাংলাদেশেও অস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।
মিয়ানমারে রাশিয়ার অস্ত্র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অস্ত্র সরবরাহ করছি। কিন্তু একই সঙ্গে ভারত, চীনও অস্ত্র সরবরাহ করছে। আমরা বাংলাদেশকেও অস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত আছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এগুলো উন্নতমানের অস্ত্র এবং ইউক্রেন যুদ্ধ দেখলে সেটি বোঝা যায়। আমরা আগেও বাংলাদেশকে অস্ত্র সরবরাহ করেছি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন রুশ রাষ্ট্রদূত।
এসময় তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান সংঘাত নিয়ে কথা বলেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বৈত নীতির কঠোর সমালোচনা করেন মান্টিটস্কি।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমারা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড (দ্বৈত নীতি) নিয়েছে। তারা ইউক্রেন ইস্যুতে অনেক সোচ্চার, কিন্তু গাজায় গণহত্যা নিয়ে নিশ্চুপ।
তবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও রাশিয়া একই মনোভাব পোষণ করে থাকে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের নীতি রাশিয়া অনুসরণ করে কি না- রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমাদের নীতি অনুসরণ করি এবং এটি আমাদের ডকট্রিনে লিপিবদ্ধ আছে। রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য আছে এবং আমরা এখানে (বাংলাদেশে) আমাদের নীতি অনুসরণ করি। আমরা বাংলাদেশকে ভারতের চোখে দেখি না।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার অবস্থান প্রসঙ্গে মান্টিটস্কি বলেন, রাশিয়া চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজ ভূমিতে ফেরত যাক। এটি নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কখন শুরু হবে সেটি এখনো অনিশ্চিত।
অন্য এক প্রশ্নে মান্টিটস্কি বলেন, টাকার সঙ্গে রুবল বিনিময়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এটি করতে পারলে দুদেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ডিক্যাব প্রেসিডেন্ট নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু প্রমুখ।