টেকনাফ প্রতিনিধি:
মুসলিম বিশে^র পবিত্র নগরী সৌদি আরবে উমরা পালনে গিয়ে মদিনা হতে মক্কা যাওয়ার পথে সড়ক দূঘর্টনায় বাংলাদেশের টেকনাফের হ্নীলার মাদ্রাসা পরিচালক ও হোয়াইক্যংয়ে মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা মঈন উদ্দিন ইন্তেকাল করেছেন। তাকে সৌদি আরবে দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
পারিবারিক সুত্র জানায়,পবিত্র উমরা পালনের যাবতীয় কার্য্যক্রম সম্পন্ন স্বরূপ গত ৬ মার্চ ভোররাত দেড়টারদিকে মদিনা হতে মক্কা যাওয়ার পথে বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ফুলের ডেইলের দলিল লিখক মরহুম শেখ আহমদ মুন্সীর পুত্র হাফেজ মাওলানা মঈন উদ্দিনসহ ৭জনের ১টি বহর আলাইন এলাকায় পৌঁছলে দূঘর্টনার কবলে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে হাফেজ মঈন উদ্দিনসহ ৩জন মারা যায় এবং আরো ৪জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত হাফেজ মঈন উদ্দিন ৩ভাই এবং ২বোনের মধ্যে ২য়।
গত মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারীতে সে পবিত্র উমরা পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গমন করেন। মরহুম হাফেজ মাওলানা মঈন উদ্দিনের সংসারে স্ত্রী, মেয়ে ওমামা (৩) এবং ছেলে মোহাম্মদ আদিল (৮মাস) রয়েছে। সে হ্নীলা ফুলের ডেইল আহমদিয়া দারুল কোরআন হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং হোয়াইক্যং মনিরঘোনা আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
স্ত্রী সাজেদা জানায়, গত ৫মার্চ রাতে মুঠোফোনে আলাপকালে সে সৌদি আরবে অপরূপ সৌন্দর্যের কথা বর্ণনা করে সেখানে মৃত্যুবরণের ইচ্ছের কথা জানায়। তখন স্ত্রী ভারাক্রান্ত মনে ২টি অবুঝ ছেলে-মেয়ের দিকে তাকিয়ে এমন মন্তব্য না করার আহবান জানান। এরপর থেকে স্ত্রীর মনে অজানা আতংক ছড়িয়ে পড়ে। স্বামীকে বহনকারী গাড়ি দূঘর্টনার খবর পেয়ে স্ত্রী সাজেদার কান্না শুরু হয়। সবশেষ মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবার ও আত্নীয়-স্বজনের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়।
মরহুমের বড় ভাই ও হ্নীলা ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন মুন্সী জানান,শেষ ইচ্ছে ও পারিবারিক সিদ্ধান্তে আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরহুম হাফেজ মাওলানা মঈন উদ্দিনকে সৌদি আরবে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
হাফেজ মাওলানা মঈন উদ্দিনের ইন্তেকালে এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।