মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল:
কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দুদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
রোববার (৫ মে) কক্সবাজারের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ মোরশেদের পক্ষে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজিম উদ্দিন পাটোয়ারি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে নোটিশটি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আইনজীবী বলেন, নির্ধারিত সময়ে নোটিশের জবাব না পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোটিশে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারকে সার্বিক উন্নতি প্রদান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। যে সকল উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তন্মধ্যে ‘কক্সবাজার ভূউপরিস্থ পানি শোধনাগার প্রকল্প’ অন্যতম। উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অন্যান্য প্রকল্প কাজের বাস্তবায়নে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র জনাব মুজিবুর রহমানের সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়ে দৈনিক ঢাকা টাইমস পত্রিকায় ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম নিম্নরূপ- ‘কক্সবাজারের মেয়র মুজিবুরের দুর্নীতির অনুসন্ধান গতি পাচ্ছে না কেন?’
পত্রিকাটিতে বলা হয়, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। ‘কক্সবাজার ভূউপরিস্থ পানি শোধনাগার প্রকল্প’ এর একটি। ২০১২ সালে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি কক্সবাজারের পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গত এক দশকেও আলোর মুখ দেখেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে ২০২২ সালের ২৬ মার্চ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, পানি
শোধনাগার প্রকল্পে দুর্নীতি, সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ইত্যাদি।
মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান সেসময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
কিন্তু নানা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পরও মেয়র মুজিবুরের বিরুদ্ধে তদন্তের গতি ধীর বলে জানা গেছে দুদক সূত্রে।
অতএব, উপরোক্ত অবস্থা, ঘটনা ও বর্ণনার নিরিখে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র জনাব মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইন ও দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয় নোটিশে।