পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : নানা নাটকীয়তার পর সংরক্ষিত বনভূমিতে জব্দ করা চার লাখ ঘনফুট বালু বনে মিশিয়ে দিচ্ছে বনবিভাগ।
গত বুধবার ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযানে বনবিভাগের ৬৫ জন বনরক্ষী ও শতাধিক সুফল শ্রমিক অংশ নেয়।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের টৈটং বনবিটের মধুখালি এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমিতে বনদস্যুরা গোপনে বালু মজুত করেছিলো। বিষয়ে নজরে এলে এসব বালু জব্দ করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, গত ২৭ মার্চ পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম সংরক্ষিত বনভূমিতে অনুপ্রবেশ করে বনবিভাগের জব্দ করা বালু ফের জব্দ দেখিয়ে নিলামে বিক্রির অপচেষ্টা চালান। যা বন বিরুদ্ধ কাজ। এনিয়ে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হলে, আদালত জব্দ করা বালু বনের নিচু স্থানে মিশিয়ে দিয়ে এর উপর বৃক্ষরোপণের নির্দেশ দেন।
সহকারী বন সংরক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের আদেশ পেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে বালু মিশিয়ে দেওয়ার এ অভিযান শুরু করা হয়েছে। দু'টি হুইল লোডার ও একশো জন শ্রমিক বুধবার রাত-দিন কাজ চালিয়ে অর্ধেক বালু মিশিয়ে দিতে পেরেছে। বৃক্ষ রোপণসহ পুরো কাজ শেষ হতে আরো দুই-তিন দিন সময় লাগবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মধুখালীর সংরক্ষিত বনভূমিতে সর্ব সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের পাশ ঘেঁষা এ বনভূমি বন্যপ্রাণীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া, বনের বিরুদ্ধে যেকোন অপতৎপরতা বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার রয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগ।