মোঃ ইব্রাহিম খলিল:
ইয়াবাসহ আটকের পর ২০২০ সালে কারাগারে পরিচয় হয় চক্রের তিন সদস্যের। সেখানে বসে পাশ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র চোরাচালানের পরিকল্পনা। চক্রটিতে যোগ দেয় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, ফটিকছড়ি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের একাধিক সদস্য।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদররের পিএমখালী ও কলাতলীতে অভিযান চালিয়ে বিদেশি অস্ত্র-গুলিসহ চোরাচালান চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়।
আজ বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জামিলুল হক।
খবরের কাগজের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আটকরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার বাহারছড়া এলাকার কাজি জাফর সাদেক ওরফে রাজু ও পিএমখালী ইউনিয়নের ধাওনখালী এলাকার হুমায় কবির।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জামিলুল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘তিনজনের পরিচয় হয় কারাগারে। সেখানেই তারা পরিকল্পনা করে ভারত থেকে অস্ত্র আনার। যখন সবাই জামিনে বের হয়। তারপর থেকে খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আনার ব্যাপারে যোগাযোগ শুরু করে। তারপর তাদের চক্রে যোগ দেয় আরও একাধিক সদস্য। তাদের সহায়তায় অস্ত্র-গুলিগুলো কক্সবাজারে আনতে শুরু করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকটি চালান নিরাপদে পাচারের পর মঙ্গলবার রাতে র্যাবের কাছে খবর আসে; খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে পাশ্ববর্তী দেশ থেকে আনা অস্ত্র কক্সবাজারে প্রবেশ করবে এমন সংবাদে অভিযানে নামে র্যাব। প্রথমে সদরের পিএমখালী এলাকা থেকে চক্রের সদস্য হুমায়ন কবিরকে গ্রেপ্তার করার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর সদস্য রাজুকে কলাতলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তারা পাশ্ববর্তী দেশ থেকে আনা একটি ৩০৩ রাইফেল, একটি বিদেশি পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।’