সিবি টুয়েন্টিফোর ডেস্ক:
হাজারো বন্ধু, স্বজন ও শোকার্থ শুভাকাঙ্ক্ষীকে কাঁদিয়ে কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রামুর চা বাগান এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্র তাওহীদ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার সদরের কাঁঠালিয়া মোড়ায় হাজারো শোকার্থ জনতার উপস্থিতিতে জানাজা শেষে তাঁকে কবরস্থ করা হয়।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে জানাজার জন্য ইউনুছিয়া আজিজুল উলুম হেফজখানা ও এতিমখানা মাদ্রাসার মাঠে
এরও আগে প্রায় ৪২ ঘন্ট তাওহীদের মরদেহবাহী গাড়িটি পিএমখালী তার গ্রামের বাড়িতে অপেক্ষারত ছিলো তার প্রবাসী বাবার জন্য।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামুর চা বাগান এলাকায় ঈদগাঁও থেকে আসা দ্রুতগামী সিএনজির সাথে তাওহীদদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয় তার বন্ধুরা। কর্তব্যরত চিকিৎস মৃত্যু ঘোষণা করে মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেন।
এর পর কলেজ ছাত্র তাওহীদের মৃত্যুর খবরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে মর্গে ভীড় করে তার সহপাঠী, বন্ধু, স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা। তারা কেউ মানতে পারছিলো না একজন টগবগে তরুণ মুহুর্তেই এভাবে সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নিবে। সেদিন কান্না ও আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছিলো হাসপাতাল প্রাঙ্গন। তাওহীদকে হারিয়ে একে অপরকে স্বান্তনা দেবার চেষ্টা করছিলো।
উল্লেখ্য গতকাল বিকেলে তাওহীদের মন খারাপ হলে দুই বন্ধু দুটি মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন রামুর চা বাগানের দিকে। এসময় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চা বাগান এলাকায় পৌছাঁলে উলটো দিক থেকে আসা দ্রুতগামী সিএনিজির সাথে সংঘর্ষ হয়। মুহুর্তেই তাওহীদের মাথা ও শরীরে গুরুতর আঘাত লেগে মৃত্যু বরণ করেন।
নিহত তাওহীদ বাবু শহরের টেকপাড়ার প্রবাসী লুৎফর রহমানের বড় ছেলে। সে রামু কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিলো।