প্রধান প্রতিবেদক
কক্সবাজার শহরের গাড়ির মাঠ এলাকায় ভয়ঙ্কর ভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে টমটমের ব্যাটারি পানি। যেখানে ক্যামিক্যাল, এসিডসহ নিষিদ্ধ পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব ব্যাটারি পানি। ব্যস্ততম এলাকা শহরের ঝাউতলার ১ নং গলিতে জরিফ আলী টমটম গ্যারেজে বিন্দুমাত্র সাবধনতা ছাড়া প্রক্রিজাত হচ্ছে ব্যাটারি পানি। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রশাসনকে প্রতি মাসে মাসোহারা দিতেন জরিফ আলী নিজেই। ওই কারণে বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর দেখেও না দেখার ভান করে নিশ্চুপ আছে।
সূত্র জানিয়েছে, খোদ কক্সবাজার বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার (সিএম) প্রকোশলী মো: আব্দুর রহিমের সাথে অবৈধ আরাফ মটরসের সত্ত¡াধীকারী জরিফ আলীর সাথে দহরম-মহরম সম্পর্ক রয়েছে। জরিফ আলীর পরিচালিত আরাফ মটরসে অবৈধ উপায়ে উৎপাদন করা ব্যাটারি পানি যাতে পুরো কক্সবাজারে পরিবেশন করতে পারে সেখানে যাতে কোন বাঁধা কিংবা অভিযানে না যায় তার বিনিময়ে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম প্রতি মাসে পান ১৫ হাজার টাকা মাসোহারা।
কক্সবাজার শহরের ঝাউতলার মতো ঘনবসতি এলাকায় কোন ধরনের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যাটারি পানি উৎপাদন ও পরিবেশন।
রাজস্ব সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধ উপায়ে যেভাবে ব্যাটারি পানি উৎপাদন ভয়ঙ্কর, তেমনি সরকার মোটা অংকের একটি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এধরনের ব্যাটারি পানি কারখানা করলে ফায়ার সার্ভিস, এসিড লাইসেন্স, ট্রেট লাইসেন্স, আয়কর ছাড়পত্র ও পরিবেশ ছাপত্র প্রয়োজন হয়।
সূত্র বলছে, ঝাউতলার আরাফ মটরসে উৎপাদন ও বিক্রি হওয়া ব্যাটারি পানি তৈরিতে কোন অনুমোদন নেয়নি আওয়ামীলীগের ক্ষমতা খাটানো জরিফ আলী।
এদিকে গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিএসটিআইয়ের কক্সবাজার শাখার সহকারী উপ-পরিচালক আনিছুর রহমানকে অবৈধ ব্যাটারি পানি উৎপাদন ও বাজারজাত করার বিষয়টি অবগত করেন এই প্রতিবেদক। ওই সময় তিনি তার অধিনস্থ প্রকৌশলী আব্দুর রহিমকে দায়িত্ব দেন এবং অভিযান পরিচালনা করার অঙ্গিকারও করেন। ওই মুহুর্তে প্রকৌশলী আব্দুর রহিমকে টানা তিনদিন ধরে ফোন, লোকেশন দিয়েও তিনি অভিযানে অনিহা প্রকাশ করেন।
এদিকে বিএসটিআইয়ের কক্সবাজারের উপ-পরিচালক জাকির হোসেনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি খুব শিগিরই অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবেন বলে জানান। তিনি যেহেতু কক্সবাজারে নতুন এসেছেন অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার অনুরোধ জানান।