নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বৈরাচার আমলে নেতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে বরইতলী ইউনিয়নের চকরিয়া উপজেলার আব্দুর রহিম প্রকাশ (সোনা মিয়ার)বিরুদ্ধে । তথ্য বলছে, স্থানীয় নেতা এবং প্রশাসনের সাথে বেশ সক্ষতা ছিল তার , নিয়মিত দেখা যেত চকরিয়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মিটিং-এ, তৎকালীন আওয়ামী এমপি জাফরের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য তথা জাফরের ডান হাত হিসেবে কাজ করলেও ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার পতন হবার পর থেকে নিজের অপরাধ চাপা দিতে আব্দুর রহিম স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে সক্ষতা তৈরির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে অনেকটা।
তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মিটিং-এ উপস্থিত থাকলেও নিজের জীবনে নেই কোন শৃঙ্খলা। শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি হলেও তিনি নিজেকে দাবি করেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুপারভাইজার, এসব পদ-পদবি ব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন অপরাধের সামরাজ্য, দুই সন্তানের জনক হলেও নিজেকে দাবি করেন অবিবাহিত, রাবারড্যাম সংলগ্ন অফিসেও তাকে বিভিন্ন সময় মেয়ে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাক-মেইলের অভিযোগ।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী বলেন, সে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয়ে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে, কৌশলে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ধর্ষণের সময় ধারণ কৃত ভিডিওর ভয় দেখিয়ে আরও একাধিক বার ধর্ষণ করে। এর জন্য আমি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম কাছে তথ্য প্রমাণ নিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ।
পঞ্চম শ্রেণীর গণ্ডি পার করা এই আব্দুর রহিম কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন প্রহরী হয়ে এই সুপারভাইজার পরিচয় দেয়ার বিষয়টি উপ-সহকারী প্রকৌশলী জামাল মুর্শিদ কে অবগত করলে-তিনি বলেন- সে আমাদের আউটসোর্সিং এ নিয়োগ পাওয়া একজন প্রহরী। সে নিজেকে কোথাও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুপারভাইজার দাবি করলে বা উক্ত পদবী ব্যাবহার করে অপরাধ করছে এ ধরণের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।