নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরিয়াল ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগে অভিযুক্ত আব্দু রহিম প্রকাশ সোনা মিয়ার পক্ষ নিয়ে ভূক্তভুগী ও তার বাবাকে অভিযোগ আছে বলে থানায় ডেকে নিয়ে সুকৌশলে মামলা না করতে ভীতি প্রদর্শন করে ওসি (তদন্ত) পেকুয়া ।
উল্লেখ্য, চকরিয়ার আব্দু রহিম প্রকাশ সোনা মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ তুলে এক ভূক্তভুগী নারী, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একদল প্রভাবশালী-কে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে অভিযুক্ত রহিম, তারা অভিযুক্তের পক্ষ নিয়ে ভূক্তভুগী ও তার পরিবারকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এরই এক পর্যায়ে মীমাংসার কথা বলে জালাল নামের এক প্রভাবশালীর বাসায় ডেকে নিয়ে বাকি প্রভাবশালীদের উপস্থিতিতে খালী স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে বলে এতে ভূক্তভুগী পরিবার রাজি না হলে পরে স্ট্যাম্পে লিখা হবে বলে অনেকটা কৌশলে চাপ প্রয়োগ করে খালী স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে।
দু-তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর স্ট্যাম্প লিখার জন্য না ডাকলে ভূক্তভুগী জালাল-কে স্ট্যাম্প লিখতে অনোরোধ করে অন্যতায় সবার উপস্থিতিতে স্ট্যাম্প নষ্ট করতে অনোরোধ করে, পরে স্ট্যাম্প নষ্ট করার কথা বলে জালাল ভূক্তভুগী ও তার বাবাকে পেকুয়া চৌমহুনী ডেকে নিয়ে ভূক্তভুগীর বাবাকে ধমকাতে থাকে এবং ভূক্তভুগীকে গালিগালাজ করলে ভূক্তভুগী তৎক্ষণাৎ লিখিত এজাহার সহ ধর্ষণের সময় ধারণ কৃত ভিড়িও, ছবি এবং উক্ত বিষয় নিয়ে দুই যুগের-ও বেশি সময় ধরে প্রকাশিত দৈনিক “দৈনিক আপনকন্ঠ“ সহ আরও বেশ কয়েকটি মিডিয়ার প্রকাশিত সংবাদের কাটিং নিয়ে পেকুয়া থানায় গিয়ে বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে অবগত করলে তিনি অদৃশ্য কারণ দেখিয়ে মামলা নেওয়া হয়নি।
ভূক্তভুগী বলেন লিখিত এজাহার সহ ধর্ষণের সময় ধারণ কৃত ভিড়িও, ছবি এবং বেশ কয়েকটি মিডিয়ার প্রকাশিত সংবাদের কাটিং নিয়ে ওসি পেকুয়া বরাবর গেলে তিনি বিভিন্ন কথা বলে মামলা নেননি। উল্টো থানা থেকে ফোন করে অভিযোগ আছে বলে আমার বাবাকে থানায় আসতে বলে পরে আমি সহ থানায় আসলে ওসি (তদন্ত) পেকুয়া সুকৌশলে মামলা না করতে ভীতি প্রদর্শন করে। এই মুহূর্তে আমি এবং আমার পরিবার এক প্রকার আতঙ্ক নিয়ে জীবন পার করছি, পুলিশ প্রশাসন যেহেতু অভিযুক্তের পক্ষ নিয়েছে সেহেতু আমাদের স্বপরিবারে আত্মহত্যা করা ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নাই।
এবিষয়ে বক্তব্যের জন্য ওসি (তদন্ত) পেকুয়া কে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ফোন কেটে দেয়, পরে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।
এএসপি (সার্কেল,পেকুয়া-চকরিয়া) ধর্ষণের বিষয়ে ওসি (তদন্ত) পেকুয়ার এ-ধরণের কথা বলার এখতিয়ার নেই, বিষয়টি আমি দেখছি।