প্রবাসে যাওয়ার জন্য বাড়িতে টাকা চেয়েও পাননি হানাইনুল হক ওরফে নাঈম ( ২৩)। পরিবার থেকে টাকা না পাওয়ায় বন্ধু মো. শাহীনকে নিয়ে পরিকল্পনা করেন নিজের ভাতিজি আফিয়া জান্নাত আরোয়াকে (০৮) অপহরণের। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ নভেম্বর সকাল আনুমানিক ৮ টা ২০ মিনিটের সময় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে শিশু আফিয়াকে অপহরণ করা হয় ।
অপহরণ চক্র প্রথমে আফিয়াকে সিএনজিতে উঠিয়ে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার দিকে নিয়ে যায়। পরে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন কৌশলে ঈদগাঁও থেকে চৌফলদন্ডি এবং চৌফলদন্ডি থেকে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কুতুপালং এলাকায় শাহীনের এক চাচার বাসায় অবস্থান নেয় অপহরণ চক্র।
পরে চক্রটি আফিয়ার পরিবারের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ মুক্তিপণ দাবী করে। এছাড়াও আফিয়ার পরিবারকে মানসিকতাভাবে দুর্বল করতে অপহরণ চক্র বিভিন্ন নাটকীয়তার আশ্রয় নেন। এছাড়াও আফিয়ার শরীরে নকল ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে ছবি তুলে পাঠানো হয় পরিবারের কাছে। এরইমধ্যে আফিয়ার পরিবার থেকে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে পুনরায় নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করতে কুতুপালং থেকে মেরিন ড্রাইভ রোড হয়ে কলাতলী এবং কলাতলী থেকে লিংক রোড এলাকায় আসলে র্যাবের হাতে আটক হয় শিশু আফিয়ার আপন চাচা নাঈম ও তার সহযোগী শাহীন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) আপন চাচার হাতে অপহরণের শিকার হওয়া আফিয়া জান্নাত আরোয়াকে (০৮) উদ্ধারের পর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র্যাব -১৫।
উল্লেখ্য, র্যাব -১৫ শিশু আফিয়াকে উদ্ধার পূর্বক অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়।