এক মাস আগে আমাদের মা মারা গেছেন। দুই দিন আগে পুলিশ আমার বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে। তিনি এখন জেলে আছেন। ঘরে অসুস্থ দাদি।আমাদের দেখাশোনা করার মতো কেউ নেই?’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার চিত্রাপাড়া গ্রামের শিশু সাজ্জাদ মিয়া (১৩)। সে ওই গ্রামের দিনমজুর জামাল মিয়ার ছেলে।
তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক মাস আগে জামাল মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর ছয় দিন পর তিনি মারা যান।
স্ত্রীর মৃত্যুর পর নবজাতকসহ চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন জামাল মিয়া। এ অবস্থায় গত শুক্রবার দিবাগত রাতে থানা পুলিশ জামাল মিয়াকে থানায় নিয়ে যায়। গোপালগঞ্জ সদর থানার পুলিশ পরদিন জামাল মিয়াকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
জামাল মিয়ার ভাই মনির মিয়া বলেন, ‘আমার ভাই বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নেই।
তবে একসময় সে আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিল। পুলিশ কী কারণে আমার ভাইকে ধরে নিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে তা আমাদের জানা নেই।’
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জামাল মিয়া ঢাকার তেজগাঁও থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন বলে আমরা জেনেছি। তাই তাঁকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’