
কক্সবাজার শহরের কক্স-ন্যাশনাল হাসপাতালে ডা. ফাহিমা তাসনুভার ভুল চিকিৎসায় পাঁচ মাসের গর্ভের সন্তান মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি এজাহার জমা দেওয়া হলেও পরে সেটি প্রত্যাহার করতে চাপ দিচ্ছে ডাক্তার দম্পত্তি।
রোগীর স্বামী আব্দুল্লাহ আল ইমরান এজাহারে জানান, তার স্ত্রী মহিমাতুল সানজিদ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে গত ৯ জানুয়ারি তাকে ডা. ফাহিমা তাসনুভার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাদের জানান, গর্ভের সন্তান মারা গেছে এবং তা ওয়াশ করাতে হবে। অন্যথায় তার স্ত্রীর বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে বলে জানানো হয়।
চিকিৎসকের পরামর্শে ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে ডিএনসি করানো হয়। তবে ডিএনসি করার একদিন পরই ১০ জানুয়ারি বিকেলে মহিমাতুল সানজিদ বাসায় একটি পাঁচ মাসের অপরিণত মৃত সন্তান প্রসব করেন।
এজাহারে আব্দুল্লাহ আল ইমরান উল্লেখ করেন, ডা. ফাহিমা তাসনুভার ভুল চিকিৎসার কারণেই তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান মারা গেছে। এতে তার স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুজ্জামান বলেন, “আমাদের কাছে একটি এজাহার জমা পড়েছিল। তবে ভুক্তভোগী পক্ষ এজাহারটি তুলে নিয়ে গেছে এবং তারা আপসের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে।”
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. ফাহিমা তাসনুভা বলেন, “রোগীর ডিএনসি করার পর তাকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়েছিল। তবে রোগী বাড়ি চলে যাওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখানে আমার কোনো ভুল চিকিৎসা নেই।”
এদিকে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এর আগেও ভুল চিকিৎসার একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, কক্সবাজারে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভুল চিকিৎসার ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।
স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কঠোর শাস্তি এবং সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।