
কক্সবাজার জেলা অটো টেম্পো সড়ক পরিবহন শ্রমিক ও সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের নামে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করে আসছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও বছরের পর বছর ধরে সড়ক থেকে চাঁদা আদায় করছে ‘১৪৯১’ নামের এই সংগঠন।
সংগঠনের সভাপতি দাবিদার জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক দাবিদার নুরুল হক এবং আমান উল্লাহসহ একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন পদ ব্যবহার করে এই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। শহর ছাড়াও জেলার ১৬টি স্পট থেকে সিএনজি ও অটোচালকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে।
জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদা উত্তোলনের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা লোক। শহরের বাজারঘাটা, বিলকিস মার্কেটের পাশে এবং কলাতলীতে দিদার নামের একজন চাঁদা তুলছেন। এছাড়া চকরিয়ায় মোহাম্মদ ইদ্রিস ও হাজী নুরুল আমিন, লিংকরোডে আমানুল হক আনোয়ার, রামুতে মুজিবুল হক ভুট্টু, বদরখালীতে আক্তার মেম্বার ‘১৪৯১’ নাম ব্যবহার করে নিয়মিত চাঁদা তুলছেন।
সূত্র জানায়, সংগঠনের অবৈধ কমিটির নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। সভাপতি জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক দাবিদার নুরুল হকের বিরুদ্ধে রয়েছে তিনটি চাঁদাবাজির মামলা। আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে রয়েছে ইয়াবা ব্যবসা। এছাড়াও তাদের নামে অর্থ আত্বসাতের মামলাও রয়েছে। যেটি বহুল আলোচিত ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার অর্থ আত্মসাতের মামলার রায় আজ ২৬ জানুয়ারী দিন ধার্য রয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সংগঠনের বৈধতা নিয়ে করা একটি মামলায় কক্সবাজার জেলা জজ আদালত নুরুল হক গংয়ের কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যান নুরুল হক গংরা। তবে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি নুরুল হক গংদের হাইকোর্ট মামলাও খারিজ করে দেন। এই আদেশের মাধ্যমে ‘১৪৯১’ সংগঠন পরিচালিত কার্যক্রম সম্পূর্ণ অবৈধ বলে প্রমাণিত হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দাবিদার নুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমাদের মামলা এখনো হাইকোর্টে চলমান রয়েছে।” তবে হাইকোর্টের দেওয়া খারিজ আদেশ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিভিন্ন চাঁদাবাজির মামলা থাকা সত্ত্বেও ‘১৪৯১’ নামের সংগঠনটি জেলার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। নিরীহ শ্রমিকরা প্রশাসনের কাছে চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।