
কক্সবাজারের ভারুয়াখালী-ধলিরছড়া এলাকায় ট্রেনের সাথে সিএনজির সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ট্রেন অবরোধ করে রেখেছে। এতে প্রায় এক হাজার যাত্রী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
শনিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে রামুর রশিদনগর ও ধলিরছড়ার মাঝামাঝি একটি লেভেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৩) ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথে সিএনজির সাথে সংঘর্ষে পড়ে ট্রেনটি। ঘটনাস্থলেই ৩ থেকে ৫ জন মারা যান। স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনাস্থলে কোনো গেইট ছিল না।
দুর্ঘটনার পর নিহতদের দেহাবশেষ সংগ্রহের সুযোগ না দিয়েই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ঘটনাস্থল অতিক্রম করে—এমন অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা ইসলামাবাদের পর ধলিরছড়া এলাকায় ট্রেনটি আটকে দেয়। ফলে প্রায় এক হাজার যাত্রী দীর্ঘ সময় ধরে আটকা পড়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
ইসলামাবাদ সহকারী রেল স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ কায়ুম বলেন,
“ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তবে উত্তেজিত জনতার কারণে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।”
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় পতিত কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষয়ক্ষতি চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পরই জানা যাবে।
পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) কক্সবাজারে পৌঁছাতে না পারলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বড় ধরনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১) এবং কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী পর্যটক এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য ট্রেনও বিলম্বিত হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে কোনো গেইট ছিল না এবং পুরো রেলপথে গাছ ফেলে রাখায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করুন