জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের প্রথম দিনেই গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। বিশ্বনেতারা একের পর এক বক্তব্যে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, তার মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বকালে এত ব্যাপক মৃত্যু ও ধ্বংস আর কোনো সংঘাতে ঘটেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’ তিনি আরও শর্ত রাখেন, যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় আটক সব বন্দিকে ফেরত আনতে হবে।
জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ গাজার পরিস্থিতিকে উল্লেখ করে বলেন, এটি আসলে ‘একটি অসহায় জনগোষ্ঠীর ওপর তথাকথিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অবৈধ দখল।’
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি অভিযোগ করেন, ইসরাইলের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো গাজাকে ধ্বংস করা—মানুষের বাসস্থান, জীবিকা, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা, অর্থাৎ মানুষের জীবনের মূলভিত্তিই ধ্বংস করে দেওয়া।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো আহ্বান জানান, যারা গণহত্যা মেনে নেবে না—এমন দেশগুলোর একটি শক্তিশালী বাহিনী গড়ে তুলতে হবে। সেই বাহিনী শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে অঞ্চলটিতে কাজ করবে।