সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে ১০ একর খাস জায়গা উদ্ধার এবং ১২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় অবৈধ দখলকারীদের হামলায় আহত হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ওসিসহ অন্তত ২০ জন। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ৪ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু করা হয়। এদিন বিকেল দুপুর তিনটার দিকে হঠাৎ হামলার ঘটনা ঘটে।
sa group muskan – mobile
হামলায় আহতরা হলেন- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম রফিকুল ইসলাম এবং সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ। তবে বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম রফিকুল ইসলামকে নগরের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা নগরের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, অভিযানে দুপুর ৩টার দিকে হঠাৎ ইট-পাটকেল ও ককটেল নিয়ে হামলা করে অবৈধ দখলদাররা। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়। হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক, কেএম রফিকুল ইসলাম, আমিসহ আরও অনেকে আহত হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযান আজ সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়। এসময় মোট ১০ একর জমি ও ১২০টি স্থাপন উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে দায়িত্বে ছিলেন ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে থানা পুলিশ সদস্য, জেলা পুলিশ ফোর্স, এপিবিএন, র্যাব ও আনসার ব্যাটেলিয়ন সদস্যরা সহযোগিতা করেন। এর আগে নিয়মানুযায়ী দখলদারদের সরে যেতে নোটিশ দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, নোটিশের পরও তারা সরে না যাওয়া ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জায়গাটিতেড় কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। দুপুর ৩টার দিকে অভিযানের শেষ পর্যায়ে ৩শ থেকে ৪শ মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা শুরু করে। এসময় ম্যাজস্ট্রেট ওমর ফারুক, আমি ও সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততি চলছে।