ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেন

received 6618064484949242
print news

আগামী মাসেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে। এই লক্ষ্যে দেড় মাস আগে লাল-সবুজ রঙের ট্রেনটি চট্টগ্রামের পটিয়া স্টেশনে নিয়ে রাখা হয়েছে। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহের কোনো এক দিন ট্রেনটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার স্টেশনের মধ্যে ট্রায়াল রান শুরু করবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান। ট্রেনটিতে একটি লোকোমোটিভসহ (ইঞ্জিন) ছয়টি বগি রয়েছে। প্রতি বগিতে সর্বোচ্চ ৬০ জনের আসন রয়েছে। এদিকে নতুন এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও তার আগেই কাজটি পুরোপুরি শেষ করতে চান সংশ্লিষ্টরা। ১০১ কিলোমিটার লাইনের মধ্যে এখনো পাঁচ কিলোমিটার লাইন বসানোর এবং ছয়টি স্টেশন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান জানান, শতভাগ কাজ শেষ না হলেও মোটামুটি ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেই আমরা পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারব। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের কোনো এক দিনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ট্রেন চালাতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।

এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলকে সামনে রেখে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতু সংস্কারের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইনের সংস্কারকাজও শেষ হয়েছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতু আরও মজবুত করা হচ্ছে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সেতুতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, গত ১ আগস্ট থেকে কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। ঐ সেতু দিয়ে ট্রেন এবং যানবাহন চলাচল করার আগেই ছয়টি নতুন বগি এবং একটি ২ হাজার ২০০ সিরিজের ইঞ্জিন পটিয়া স্টেশনে আনা হয়েছে। প্রতিদিন অনেকেই এই ট্রেন দেখতে আসেন।

জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরেই ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় রেল কর্তৃপক্ষের। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে দুটি প্রস্তাবনা রেল ভবনে পাঠানো হয়েছে। দুটি প্রস্তাবনার মধ্যে যে কোনো একটি ধরেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। প্রথম প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ঢাকা থেকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছবে। ফিরতি পথে সকাল ১০টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় ঢাকা থেকে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে। ফিরতি পথে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ১০টায় ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছবে। তবে ভাড়া এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *