বাংলানিউজের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু এখন কোথায়, সেই প্রশ্ন এখন ভুক্তভোগী পরিবার, সহকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মনে। সবারই আশঙ্কা, বাবু হয়তো সীমান্ত দিয়ে পালিয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের প্রশ্ন, ঘটনার ৪১ ঘণ্টা পার হলেও প্রধান অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু বা তার ছেলে ফয়সাল কোথায়? তারা কি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে? না হলে কেন এখনো তারা আটক হচ্ছেন না?
নিহত নাদিমের মেয়ে রাব্বিয়াতুল জান্নাত বাংলানিউজকে বলেন, আমার আব্বুর হত্যার মাস্টারমাইন্ড চেয়ারম্যান বাবু। এখনো কেন চেয়ারম্যানকে ধরা হচ্ছে না। সে কি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে?
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ বিষয়ে বকশিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সবার কললিস্ট চেক করছি। এ ছাড়া আমাদের টিম কাজ করছে সবাইকে আটক করার জন্য।
বকশীগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় কামালপুর স্থলবন্দরও রয়েছে। তার কি দেশের বাইরে যাওয়া শঙ্কা রয়েছে, সীমান্তে কি কোনো নোটিশ বা তথ্য জানানো হয়েছে তার বিষয়ে- এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে ভুক্তভোগী পরিবার এখনো অভিযোগ করেনি। তাই আমরা মামলাতেও যেতে পারছি না। আমরা যখন সীমান্তে নোটিশ করব, অবশ্যই কেন তার নামে নোটিশ করলাম, তা জানাতে হবে। তাই মামলা হলেই আমরা সব কার্যক্রম করব।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বাবু উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার ছেলে ফয়সাল বকশিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
বুধবার (১৪ জুন) রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।