আষাঢ়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়লেও তা তাপপ্রবাহ কমাতে পারেনি, তবে আগামী৩ দিনে তাপমাত্রা ক্রমশ কমবে। শনিবার (১৭ জুন) এমন তথ্যই জানিয়েছে দেশেরআবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
রোববার (১৭ জুন) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও দিনাজপুর জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে এবং দেশের অন্যত্র তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আর সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে পারে।
ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব
এলাকার নদীবন্দরকে ০১ নম্বর (পুনঃ) ০১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ১১৬ মিলিমিটার।