কক্সবাজার সদরে দুটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে জেলা পুলিশ। দুই হত্যাকাণ্ডই প্রেমঘটিত বলছে পুলিশ। তবে দুইজনকে উপযূপূরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছিলো পাষন্ডরা। খুরশকুলের মামুন পাড়ারয় টমটম চালক আব্দুল আজিজ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ জানান, এই ঘটনার মূল কাহিনী একজন নারী। যে নারী আব্দুল আজিজের বিবাহিত স্ত্রী। বিয়ের আগে আজিজের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেম ছিল সাকেরর। আজিজের সাথে প্রেমিকার বিয়ে হওয়ার পর সংক্ষুব্ধ হয় সাকের। প্রমিকা হারানোর প্রতিশোধ নিতেই অভিযুক্ত সাকের ও জাকির দুজনে মিলে ২০ জুন আজিজকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২২ জুন তারা দুজনেই শহর থেকে আজিজের টমটমে উঠে খুরুশকুল ব্রিজের দিকে যাত্রা শুরু করে। খুরুশকুলের মামুন পাড়ার নির্জন এলাকায় নিয়ে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিতের পরে আজিজের টমটম নিয়ে দুজনই পালিয়ে যয়। পরে টমটমটি আরেক জায়গায় বিক্রিও করে দেয় তারা।
কুতুবদিয়া পাড়ার এবাদুল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ জানান, আসামি নান্নুর প্রেমের সম্পর্কে হঠাৎ ফাটল ধরে। নান্নু মনে করেছে এটি তার বন্ধু নিহত এবাদুল্লাহ করেছে। পরে এবাদুল্লাহকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে ২৩ জুন রাতে ফোন করে ডেকে নেয় তিন বন্ধু নান্নু, সালা উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম রাকিব। তিন বন্ধু মিলে দড়ি দিয়ে এবাদুল্লাহর হাত পা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করে। ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে নাভিতে ছুরিকাঘাত করে তারা। মৃত্যুর পরে এবাদুল্লাহর লাশ ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আটকের পরে দুটি হত্যাকাণ্ডে আসামীরা এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানান পুলিশ। মামলার এজহার জমা দিয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞা আদলতে প্রেরণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।
উল্লেখ্য শুক্রবার সকালে খুরুশকুল আশ্রয় প্রকল্পের পাশে বশির পাড়ার বিল থেকে মো. আজিজ নামে টমটম চালকের মরদেহ উদ্ধার করা পুলিশ। আজিজ শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে এবাদত উল্লাহ ( ২৪ জুন শনিবার) বিকেল ৩টার দিকে পৌরসভার সমিতি পাড়ার পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়ার ঝাউবাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এবাদুল্লাহ সমিতি পাড়ার নতুন পাড়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী নুরুল আলমের ছেলে। তিনি পৌর প্রিপ্যারটরী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.