কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় আশিক এলাহী (২৩) নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণের পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৬ জুন) সকালে উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর এইচ/৫৯ ব্লক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আশিক ১১ ব্লক সি/৭ এর শহিদুল হকের ছেলে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর এইচ/৫৯ ব্লকে সন্ত্রাসীরা আশিক এলাহী নামের এক রোহিঙ্গাকে হত্যা করে হাত পা-বাঁধা অবস্থায় ফেলে চলে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন ও থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২১ জুন টেকনাফের চাকমারকুল ক্যাম্প-২১ সি/১ ব্লকের রিজিম উল্লাহ (২৫), রিয়াজ উদ্দিন (২১) ও মজিবুল্লাহ (২৬) নামে তিন রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণের একদিন পর আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরদিন ২২ জুন লেদা ২৪ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা বাজার থেকে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে মোহাম্মদ ইসলাম কালো (৪৫) নামে এক বাঙালী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপহরণের একদিন পর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ২৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছেন অপহৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের কাছ থেকে। টাকা না পেলে তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলে বিষয়টি জানিয়েছেন ভিকটিমের ভাই মো. হাসান। এ ঘটনার একদিন পার না হতেই আরও দুই রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। তাদের ফিরে আসার খবর এখনো আসেনি।
অন্যদিকে টেকনাফে বিগত সাত মাসে ৮৫ জনের অধিক লোক অপহরণের শিকার হয়েছেন। প্রত্যেকে অপহরণকারীদের মোটা অংকের মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন। মুক্তিপণ দিতে না পারায় টমটম (ইজিবাইক) চালকসহ চারজন খুন হন। এদের মধ্যে একদিনেই কক্সবাজারের তিনজনকে খুন করা হয়। এর মধ্যেই সোমবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে হত্যার শিকারের সংখ্যা আরও একজন বাড়লো।