কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এবার ঈদুল আজহা’র জামাত বৃহস্পতিবার ২৯ জুন সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠিত হবে। কক্সবাজার পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ময়দানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বৃষ্টিকে মাথায় রেখে ২ দিন ধরে নামজের জন্য যথাযথ প্রস্তুত করা হচ্ছে জেলার সর্ববৃহৎ এই ময়দান।
জামাতে ইমামতি করবেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রধান ইমাম ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সোলাইমান কাসেমী। কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮ টায় ঈদুল আজহা’র শুধুমাত্র একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় কোন জামাত সেখানে অনুষ্ঠিত হবেনা। সংশ্লিষ্ট সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামায়াতের বিগত ৩৩ বছরের খতিব আল্লামা মাহমুদুল হক পবিত্র হজ্ব পালন করতে বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন।
সুত্রটি আরো জানিয়েছে, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জেলার প্রধান ঈদুল আজহা’র জামাতের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হচ্ছে। সম্মানিত মুসল্লীরা সাবলীল ও সুন্দরভাবে যাতে ঈদুল আজহা’র নামাজ আদায় করতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। জামাতে ১০ হাজারের বেশী মুসল্লী একত্রে নামাজ আদায় করতে পারবেন। প্রতিকূল আবহাওয়া ও
বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে পুরো প্যান্ডেলে ত্রিপলের চাউনি দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ঈদগাহ ময়দানে ৪ টি গেইট দিয়ে মুসল্লীরা প্রবেশ করতে পারবেন। ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহা’র জামাতে সর্বোচ্চ ২ স্থরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষনিক নজরদারিতে থাকবে। কোন মুসল্লী অসুস্থ হলে যাতে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়, সেজন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। ময়দানে মুসল্লীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্যান্ডেলে ২৫০ টির বেশি ফ্যান লাগানো হয়েছে।
কক্সবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করেছেন। এসময় তাঁরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের ঈদুল আজহা’র জামাত এর প্রস্ততি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মুফতি মাওলানা সোলাইমান কাসেমী কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ১৯৯১ সালে প্রধান ইমাম হিসাবে যোগদান করে অদ্যাবধি এই দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ঈদগাহ ময়দান জামে মসজিদের নিয়মিত খতিব। কক্সবাজার শহরের সবচেয়ে বড় কওমি মাদ্রাসা পাহাড়তলী রহমানিয়া মাদ্রাসার পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন সফলভাবে। তিনি কক্সবাজার জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি।
মুফতি মাওলানা সোলাইমান কাসেমী বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার প্রধান বিচারক ও কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির একজন নির্বাহী সদস্য। তিনি কক্সবাজাৱ হুফফাজুল কুৱআন সংস্থাৱ অভিভাবক৷ মুফতি মাওলানা সোলাইমান কাসেমী দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তর দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পটিয়া আল জামেয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম থেকে পবিত্র কোরআন হেফজ ও জামাতে পঞ্জুম পর্যন্ত শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে দক্ষিণ এশিয়ার বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতের জামেয়া দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রথম শ্রেণীতে (মমতাজ) কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রী অর্জন করেন।
অত্যন্ত মেধাবী ও প্রতিভা সম্পন্ন মুফতি মাওলানা সোলাইমান কাসেমী একজন গুনী, হক্কানি, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন হিসাবে সবার কাছে সুপরিচিত। কক্সবাজার অঞ্চলে দ্বীনি শিক্ষার প্রসার ও প্রচারে, আলেমদের অধিকার আদায়ে, হক্কানী আলেম ওলামাদের সুসংগঠিত করতে এবং মাসালা মাসায়েলের মাধ্যমে মুসলমান নাগরিকদের দ্বীনের সঠিক পথে পরিচালিত করতে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা সবার কাছে প্রশংসনীয়।