কক্সবাজার শহরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত রেজাউল করিম বাপ্পী হত্যার খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। এতে রুমালিয়ার ছড়ার পূর্বাংশের সমাজ কমিটি এবং শহর কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দরা তাঁদের একনিষ্ঠ কর্মী হত্যাকারীদের ফাসির দাবী করেন।
গেল ২৯ জুন কোরবানির ঈদের আগের রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ী বাপ্পীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাপ্পী। নিহতের ভাই ফরহাদ দাবী করেন, সেই রাতে একই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সেলিম ও তার দুই পুত্র রাহাদ এবং রাফি বাপ্পীকে খুন করে।
৫ জুলাই বুধবার সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তিন হত্যাকারী সেলিম ও তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করে বিচারের দাবীতে বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
মানববন্ধনে বাপ্পীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে আন্দোলনকারীরা। নিহত বাপ্পি কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া পূর্ব গরু হালদা এলাকার মৃত মুহাম্মদ আলমের ২য় পুত্র এবং বাংলাদেশ কৃষকলীগ কক্সবাজার শহর শাখার কর্মী।
মাদকের গডফাদার ও সন্ত্রাসীরা এমন হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেন বলে দাবী করেন শহর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক তামজিদুল ইসলাম মিন্টু
কৃষকলীগের ত্যাগী কর্মীকে হারিয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে নেতাকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, সন্ধ্যার পরে কথিত বড় ভাইয়ের ইন্দনে খুন খারাপি, চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা নেমে পড়ে কিশোর গ্যাংসহ কিছু সন্ত্রাসী। কথিত রাজনৈতিক বড়ভাই রয়েছে ইন্ধন রয়েছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। তারা স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উত্তপ্ত করে প্রায়শই।
দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া সমাজ কমিটি নেতৃবৃন্দরা দাবী করেন হত্যাকারীরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় নিহতের পরিবার জীবন শংকায় রয়েছে।
মানববন্ধন পরবর্তী কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রধান করেন বিক্ষুদ্ধরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষকলীগ কক্সবাজার শহর শাখার আওতাধীন সকল ওয়ার্ড এবং ইউনিটের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়ার সমাজ কমিটির নেতৃবৃন্দসহ এলাকার সর্বস্তরের নারীপুরুষ।