অধিকৃত সেদরত শহরের ইসরায়েলি বসতি লক্ষ্য করে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হামাস। রোববার (৮ অক্টোবর) নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য জানায় হামাসের সশস্ত্র শাখা, আল-কাসাম ব্রিগেড। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাকে হতাহতের তথ্য জানা যায়নি।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। ২০ মিনিটে ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভেতরে সশস্ত্র যোদ্ধারা ঢুকে পড়ারও খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, ইসরায়েলে আক্রমণ চালিয়ে অন্তত ১০০ জন সামরিক-বেসামরিক নাগরিককে অপহরণ করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের এক পোস্টে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ইসরায়েলে হামাসের সাম্প্রতিক হামলায় ৩০০ জনের বেশি নিহত, ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এ অবস্থায় ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আমাদের শত্রুদের এমন মূল্য দিতে হবে, যা তারা কখনো দেখেনি।
হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ৩১৩ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি মিডিয়া। আর গাজায় ইসরায়েলিদের পাল্টা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনি। অবশ্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের হামলায় প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে বিপুল সংখ্যক সৈন্য জড়ো করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তারা।
অন্যদিকে, লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ রোববার সকালে উত্তর ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়েছে। এদিন সকালে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, আমরা সেবা ফার্মস অঞ্চলে রকেট ও গোলা হামলা চালিয়েছি। এ সময় ইসরায়েলি সেনাদের তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের অধিকৃত ভূমি উদ্ধার ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
সেবা ফার্মস দক্ষিণ লেবাননের ইসরায়েল অধিকৃত একটি অঞ্চল, যা ইসরায়েলের উত্তরে অবস্থিত।
হিজবুল্লাহর হামলার তাৎক্ষণিক জবাব দিয়েছে ইসরায়েল। তারাও হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি একটি ড্রোন সেবা ফার্মসে হিজবুল্লাহর একটি ঘাঁটিতে আঘাত করেছে। তবে এসব হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি, টাইমস অব ইসরায়েল