আফিম নিয়ে বান্দরবান থেকে কক্সবাজার আসছিলেন চিংহ্লামং মারমা। বান্দরবানের সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি ২০০ গ্রাম আফিমসহ এ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫ এর একটি দল।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
আটক হওয়া চিংহ্লামং মারমা (৬০) বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার মিনিঝিরি পাড়ার বাসিন্দা আপ্রুমং মারমার ছেলে। সোমবার (১৬ই অক্টোবর) বিকালে বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার রুমা স্টেশন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সোমবার বিকালে বান্দরবানের বারমাইল এলাকা থেকে বাসে মাদকের বড় একটি চালানসহ বান্দরবান জেলা সদরের দিকে আসছে এমন খবর পেয়ে সদর উপজেলার রুমা স্টেশনে সড়কের উপর একটি অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি বসায়। থানচির দিক থেকে আসা সুগন্ধা পরিবহন সার্ভিসের একটি বাস থামিয়ে তল্লাশি করে র্যাবের দলটি। পালাতে গিয়ে হাতে পলিব্যাগে রাখা আফিমসহ গ্রেপ্তার হন চিংহ্লামং মারমা।
উদ্ধার হওয়া এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ২ লাখ টাকা। গ্রেপ্তার ব্যক্তির প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাতে র্যাবের কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তার চিংহ্লামং মারমা একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। বান্দরবানের পাহাড়ি মাদক চক্রের সাথে সমন্বয় করে দুর্গম পাহাড় ও মিয়ানমার থেকে আফিমের চালান নিয়ে আসত।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে বান্দরবান সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।