কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখাঁ চৌধুরীপাড়ায় দুস্থ মহিলা সহায়তা (ভিডাব্লিউবি) প্রকল্পের সরকারি ১১১ বস্তায় তিন হাজার ৩৩০ কেজি চাল জব্দের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে।
দৈনিক যুগান্তরের অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর চাল জব্দের তিন দিনের মাথায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে উখিয়া থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
র্যাব-১৫-এ কর্মরত এসআই মংকু চাকমা বাদী হয়ে করা মামলায় একজনকে প্রত্যক্ষ এবং ৪-৫ জনকে পরোক্ষ আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।
আসামিরা হলেন- উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমা চৌধুরীপাড়ার (৯নং ওয়ার্ড) মোজাহের কোম্পানীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩২)। তিনিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে পলাতক আসামি করা হয়েছে।
মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রোববার রাতে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের এসআই রাসেল হোসেন, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, এএসআই ফরিদুর রেজা, নায়েক জাকির হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়মিত টহলে বের হয়। টহলকালে উখিয়া বাজার এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদে খবর আসে- উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউপির রুমকা চৌধুরী পাড়াই মোজাহের কোম্পানীর আধপাকা বসতঘরে ভিজিডি কর্মসূচির বিপুল পরিমাণ চাল অবৈধ মজুদ করা হয়েছে।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আদেশ পাওয়ার পর সেখানে গেলে মজুদকারিরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে উপস্থিত লোকজনের সামনে পলাতক আসামির ঘর তল্লাশি করে তার ঘরের বারান্দায় থাকা মুখ বন্ধ অবস্থায় খাদ্য অধিদপ্তরের আতপ চাল ২৮টি প্লাস্টিকের বস্তা, ৮৩টি চটের বস্তা উদ্ধার হয়। প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে ১১১ বস্তায় ৩ হাজার ৩৩০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়।
এসআই রাসেল হোসেন রাত সোয়া ১টার দিকে আলামতের জব্দ তালিকা করে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উখিয়ার নির্দেশে জব্দ তালিকা মূলে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক উখিয়া কক্সবাজারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উখিয়া থানার এসআই মনোজ কান্তি কুরীকে।
উল্লেখ্য, রোববার রাতে তিন ঘণ্টা অভিযানের পর হলদিয়া পালংয়ের রুমকা চৌধুরীপাড়া থেকে ১১১ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়। এর একদিন পর র্যাব-১৫ নিয়ম মতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিলেও চাল জব্দের ঘটনায় তথ্য আড়াল করা হয়।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এটা স্পর্শকাতর একটি বিষয়। প্রভাবমুক্তভাবেই তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।