কক্সবাজার পৌরসভায় দেয়াল চাপায় একজন, মহেশখালী ও চকরিয়ায় গাছ চাপায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। তবে তাদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো.ইয়ামিন হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজারে তাণ্ডব চালিয়েছে। ওই সময়টায় প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়। কয়েক হাজার গাছ উপড়ে গেছে। পাশাপাশি অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে বলা যাবে। এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, এই তথ্য পেয়েছি।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর, মোংলা ও পায়রাকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি) এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।