মহিউদ্দিন মাহী
বিশেষ প্রতিবেদক
ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে আটকে পড়া ১৮ মাঝি-মাল্লাকে উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উত্তাল সাগরে আটকে যায় মাছ ধরার এই ট্রলারটি। খুরুশকুলের লালু কোম্পানীর মালিকানীধন মায়ের দোয়া ট্রলারটি গত ৯ নভেম্বর সাগরে মাছ আহরণ ধরতে যায়। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির যখন শুরু হয় তখনই এই ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা কূলে ফিরতে চেষ্টা করে। কিন্তু ২১ নটিক্যাল মাইল দূরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে আর কূলে ফিরতে পারেনি। ওই সময় ট্রলারের প্রধান মাঝি রুহুল আমিন ট্রলার মালিক মোস্তাক আহমদ প্রকাশ লালুকে বিষয়টি জানালে ট্রলারটি সন্ধান শুরু করে। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাত ১ টায় কোষ্টগার্ডের টহল জাহাজ মনসুর আলীর ক্যাপ্টেন তারেক আজিজের নেতৃত্বে ১৮ জন মাঝিমাল্লাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই সময় দুর্ঘটনায় কবলিত ট্রলারটিকে উদ্ধার করে আরেকটি ট্রলারের সাহার্য্যে কক্সবাজার ফিসারী ঘাটে আনা হয়। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার কোষ্টগার্ড ষ্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কর্মকর্তা সালমান।
ট্রলার মালিক মোস্তাক আহমদ লালু বলেন, ‘একটি ট্রলার গেলে হয়তো আরেকটি ট্রলার তৈরি যেতো। তবে ১৮ জন জেলে থেকে কেউ হতাহত হলে তাহলে আমি তাদের পরিবারকে কি উত্তর দিতাম। মহান আল্লাহর কাছে শুকুরিয়া জানাচ্ছি, সুষ্ঠু ভাবে কূলে ফিরতে পেরেছে ১৮ জন জেলে।
এদিকে ট্রলারের প্রধান মাঝি রুহুল আমিন বলেন, আমরা যখন সাগরে ভাসছিলাম, তখন মনে হয়েছিলো হয়তো আর ফিরতে পারবো না। মোবাইলের চার্জও শেষ হয়েছে। নেটওয়ার্ক কিছুটা পায় আর কিছুটা না পায়। এরই মাঝে ট্রলার মালিকসহ আত্বীয়-স্বজনদের ফোন করি। কোষ্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার করায় তাদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।