মিধিলির পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলেছে ‘মিগজাউম’ নামের একটি ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের উপকূলে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসমূলক তথ্য পরিবেশক ভারতীয় কোম্পানি ‘স্কাইমেট ওয়েদার’- এর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য মিন্ট ও ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এটি হবে চলতি বছর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়।
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলা ও ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলো ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে প্রভাবিত হওয়ার পর নতুন এ সতর্কবার্তা এলো।
পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ২৭ নভেম্বর থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত প্রবেশ করবে। এটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে শক্তি সঞ্চয় করবে। আর শক্তি বাড়িয়ে ২৯ নভেম্বর ঘূর্ণাবর্তটি পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।
স্কাইমেট বলছে, আবহাওয়ার সবশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে এই ঝড় সৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থা বিরাজ করছে।
দ্য মিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন তৈরি হয়। তবে মে মাসে মৌসুমি বৃষ্টি পূর্ববর্তী আবহাওয়া পরিস্থিতি সাইক্লোনের সংখ্যা বাড়ানোর অনুকূলে কাজ করে। এছাড়া নভেম্বরে মৌসুমি বৃষ্টি পরবর্তী সময়ের আবহাওয়া পরিস্থিতিও একই ভূমিকা রাখে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ- আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়।
বঙ্গোসাগরে চতুর্থ এই সাইক্লোনের জন্ম হলে সেটির নাম হবে ‘মিচাহং’, তবে উচ্চারণ করতে হবে ‘মিগজাউম’। নামটি প্রস্তাব করেছে মিয়ানমার।