আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজ

mustapiz
print news

ভোটের চার দিন আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের মামলায় জামিন নিলেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বুধবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম জুয়েল দেবের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আইনজীবী ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম বজলুর রশিদ মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।”

বাঁশখালীর নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লা গত ২৬ ডিসেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। নির্বাচনি আচরণ বিধি আইনের ৮(খ) ধারায় মামলাটি করা হয়। মামলাটি গ্রহণ করে বিচারক সেদিন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

যে কারণে মামলা

৩০ নভেম্বর ঘটনার সূত্রপাত চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর যখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছিলেন, তার সঙ্গে ঢুকে পড়েন ১৪-১৫ জন নেতাকর্মী।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হন তারা। সে সময় ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন প্রশ্ন করেন, “আপনি কি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন?”

প্রশ্ন শুনে সঙ্গে সঙ্গে রেগে যান মোস্তাফিজুর রহমান, গালি দিয়ে ওই সাংবাদিককে হাত দিয়ে ধাক্কা দেন এবং হুমকি দিতে থাকেন। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা এসময় অন্য সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন।

সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

পরে এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর লিখিত ব্যাখ্যা চান এ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান।

সে অনুযায়ী প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেন মোস্তাফিজুর। অভিযোগ ও সংসদ সদস্যের বক্তব্য যাচাই বাছাই করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি যে প্রতিবেদন দেন, সেখানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *